মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
প্রায় এক সপ্তাহ দিনরাতের মুষলধারের বৃষ্টির পর গতকাল কিছু সময়ের জন্য সূর্যের কিরণ দেখা গেলেও আবারো আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেছে। এতে সাধারণ মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে লাগাতার বৃষ্টির কারণে হঠাৎ করেই মানুষ প্রায় ঘরবন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। তবে স্থানীয় প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে বড় ধরণের বন্যার আশঙ্কা না থাকলেও সাময়িকভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
সূত্র মতে, গতকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালনী নদীর পানি বিপদসীমা থেকে ৫ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার নিচে ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৫ দশমিক ৮৯ নিচে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এক সপ্তাহের লাগাতার বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রভাবে দিরাইয়ের কালনী, কুশিয়ারা ও শাখা সুরমাসহ সকল নদ-নদী, খাল-বিল প্লাবিত হয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। সাধারণ মানুষের ধারণা, সবকটি হাওরে পানি প্রবেশ করলে নদীগুলোর পানি কিছুটা কমে যাবে। তবে গতবারের বন্যার আতঙ্ক মনে এখনও বিরাজ করছে। এ বছরও প্রচুর বৃষ্টির কারণে সেই আতঙ্ক নাড়া দিচ্ছে সাধারণের মনে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দিরাই অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী শাখা কর্মকর্তা (এসও) এ.টি.এম. মোনায়েম হোসেন জানান, দিরাইয়ে বড় ধরণের বন্যার কোন সম্ভাবনা নেই। আমরা প্রতিনিয়ত মাঠ ঘুরে দেখছি। গতকাল পর্যন্ত দিরাই কালনী নদীর পানি বিপদসীমা থেকে ৫ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার নিচে ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৫ দশমিক ৮৯ নিচে রয়েছে।
দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মামুন জানান, আমাদের তথ্য মতে এখন পর্যন্ত দিরাইয়ের কোথাও বাড়িঘর বা রাস্তাঘাট ডুবেনি। তবে উজানের ঢল ও বৃষ্টির কারণে সাময়িকভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা প্রতিদিন হাওর এলাকা ঘুরে দেখছি এবং তথ্য সংগ্রহ করছি।